টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ইউএনও ইসরাত সাদমীন একের পর এক বাল্য বিয়ে বন্ধ করে বে-রসিক ইউএনও’র খেতাব লাভ করেছেন। গত এক মাসেরও কম সময় মির্জাপুরে যোগদান করেছেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে অন্যান্য কাজের সাথে বাল্য বিবাহ বন্ধে অলিখিত যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন এই ইউএনও। গত তিন দিনে তিনটি বাল্য বিয়ে বন্ধ করেছেন এই ইউএনও। বাল্য বিয়ের খবর পেলেই সেখানে গিয়ে হাজির হচ্ছেন।
রবিবার বিকেলে উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের বহুরিয়া গ্রামে সুমা আক্তার নামে এক ছাত্রীর বাল্য বিয়ের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে হাজির হন নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীন।
এ সময় তিনি কনের বাবা দেলোয়ার হোসেন ও মা জেসমিন বেগমের সঙ্গে কথা বলে মেয়ের বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন। পরে নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীন কনের বাবা ও মায়ের কাছ থেকে মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে একটি লিখিত অঙ্গীকারনামা নেন। বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়ে বিয়ে বন্ধ করায় আগত অনেকে বলতে থাকেন বে-রসিক ইউএনও এসে বিয়ের আনন্দ মাটি করে দিল!
নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীন বলেন, বাল্য বিয়ে বন্ধে আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনা সৃষ্টি মাধ্যমে জনমত গড়ে তুলতে হবে।
–
পাঠকের মতামত